মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (FDA)(The U.S. The Food and Drug Administration ) SARS-CoV-2 (বা কোভিড ১৯ ভাইরাস)সনাক্ত করতে পারা র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন (EUA)(emergency use authorization )প্রদান করেছে । পরীক্ষার ধরনভেদে মাত্র ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের ভেতর ফলাফল পেয়ে যাবার কারনে এটি করোনা আক্রান্তদের isolation বা পৃথকিকরণ প্রক্রিয়ার ব্যবহার করা শুরু হয়েছে ।
WHO এর তথ্য অনুযায়ী SARS CoV 2 RNA PCR টেস্টের তুলনায় এটির নুন্যতম সেন্সিটিভিটি ৮০% এবং স্পেসিফিসিটি ৯৭ % ।
এই টেস্টের সেন্সিটিভিটি ৮০% এর অর্থ হল ১০০ জন পজিটিভ ব্যাক্তির মধ্যে ৮০ জনকে টেস্টটি পজিটিভ হিসেবে সনাক্ত করবে বাকী ২০ % ক্ষেত্রে এটি False Negative রেজাল্ট দিবে অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২০ % মানুষ এই টেস্ট নেগেটিভ হবার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু আসলে তারা পজিটিভ ।
আবার টেস্টের স্পেসিফিসিটি ৯৭ % এর অর্থ হল ১০০ জন নেগেটিভ ব্যাক্তির মধ্যে ৯৭ জনকে টেস্টটি নেগেটিভ হিসেবে সনাক্ত করবে বাকী মাত্র ৩ % ক্ষেত্রে এটি False Positive রেজাল্ট দিবে । অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় এমন ৩ % মানুষ এই টেস্টে পজিটিভ হবার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু আসলে তারা নেগেটিভ ।
এতে করে দেখা যাচ্ছে এই টেস্টে False Positive হবার সম্ভাবনা কম এবং False Negative হবার সম্ভাবনা তার তুলনায় অনেক বেশী।
এ কারনে এই র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট দ্বারা নেগেটিভ সকল ব্যাক্তি যাদের সর্দি , কাশি , জ্বর , গলাব্যাথা সহ অন্যান্য কোভিড ১৯ এর উপসর্গ আছে তাদের অবশ্যই আইসোলেশনে রাখতে হবে এবং SARS CoV 2 RNA PCR টেস্ট করিয়ে নিয়ে নিশ্চিত হত হবে আসলেই ভাইরাসটি দেহের মধ্যে আছে কি না ।
র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট দ্বারা পজিটিভ ব্যাক্তির আর SARS CoV 2 RNA PCR টেস্ট করার প্রয়োজন নেই ।
মনে রাখতে হবে উপসর্গ আসার প্রথম ৫-৭ দিনের মধ্যে এই র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করাতে হবে ।