ব্লাড প্রেশার (রক্তচাপ ) সঠিক নিয়মে মেনে পরিমাপ করা অত্যান্ত জুরুরী । প্রায়শই সঠিক নিয়মে না মাপার কারনে ব্লাড প্রেশার পরিমাপে ভুল হয় যা আপনার চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলেতে পারে ।
ব্লাড প্রেশার পরিমাপের সময় আমাদের নীচের বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে ।
১) ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করার পূর্বে পাঁঁচ মিনিট শান্ত হয়ে বসুন । প্রতি ভিজিটে দুইবার ব্লাড প্রেশার মাপা যেতে পারে ।
২) চেয়ারের পেছনে হেলান দিয়ে স্বচ্ছন্দে বসুন । মাংসপেশীগুলো ঢিলে করে দিন ।
৩) ব্লাড প্রেশার পরিমাপের সময় কথা বলবেন না , মোবাইল ফোনে ব্রাউজিং করা বা অন্য কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন ।
৪) ব্লাড প্রেশার পরিমাপের অন্তত ৩০ মিনিট পূর্ব থেকে কফি ও ধুমপান করা থেকে বিরিত থাকুন ।
৫) দিনের বেলায় ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করা উচিৎ (এটি নতুন রোগ নির্ণয় করার জন্য জরুরী) কারন রাতের বেলায় ও ঘুমের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে ব্লাড প্রেশার কম থাকে ।
৬) সব ধরনের আঁটশাঁট জামা কাপড় ব্লাড প্রেশার পরিমাপের পূর্বে খুলে ফেলতে হবে ।
৭) ফেইজ ১ করোটকফ সিস্টোলিক প্রেশারের জন্য এবং ফেইজ ৫ করোটকফ ডায়াস্টোলিক প্রেশারের জন্য নির্ধারন করতে হবে । যদি করোটকফ শব্দ বিলীন না হয় তাহলে ফেইজ ৪ কে ডায়াস্টোলিক হিসেবে নিতে হবে ।
৮) ২ মিমি /সেকেন্ড এই হারে কাফের চাপ কমাতে হবে । তাড়াহুড়ো কতে দ্রুত কাফের চাপ কমানো থেকে বিরত থাককে হবে ।
৯) সাধারণত বসা অবস্থায় ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করা উচিৎ তবে বয়স্ক ব্যক্তি , যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের বসা থেকে দাড়ালে মাথা ঘুরে তাদের ক্ষেত্রে বসা ও দাঁড়ানো উভয় ব্লাড প্রেশার মাপা যেতে পারে । এতে করে Postural Hypotension বা দাঁড়ালে ব্লাড প্রেশার কমে যায় কিনা সেটা নির্ণয় করা যায় ।
১০) রোগ নির্নয়ের ক্ষেত্রে উভয় বাহুর ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করা প্রয়োজন পড়তে পারে । বিশেষ করে Atherosclerosis , Subclavean artery stenosis , Vasculitis ( Takayasu arteritis , Giant cell arteritis ) এই সব রোগে দুই বাহুতে ব্লাড প্রেশারে অমিল পাওয়া যেতে পারে।
অপর দিকে Coarctation of aorta তে বাহুর ব্লাড প্রেশার এবং পায়ের ব্লাডপ্রেশার মাপার প্রয়োজন পড়তে পারে যেখানে দেহের উপরের অংশের ব্লাড প্রেশার বেশি থাকে এবং নীচের অংশের ব্লাড প্রেশার কম থাকে।
রোগ নির্নয়ের ক্ষেত্রে উভয় বাহুর ব্লাড প্রেশার পরিমাপ করা প্রয়োজন পড়তে পারে । বিশেষ করে Atherosclerosis , Subclavean artery stenosis , Vasculitis ( Takayasu arteritis , Giant cell arteritis ) এই সব রোগে দুই বাহুতে ব্লাড প্রেশারে অমিল পাওয়া যেতে পারে।
অপর দিকে Coarctation of aorta তে বাহুর ব্লাড প্রেশার এবং পায়ের ব্লাডপ্রেশার মাপার প্রয়োজন পড়তে পারে যেখানে দেহের উপরের অংশের ব্লাড প্রেশার বেশি থাকে এবং নীচের অংশের ব্লাড প্রেশার কম থাকে।