ছোট শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় , বিশেষ করে বাচ্চার বয়স যখন ছয় মাসের কম বয়সের হয়ে থাকে । কারন ছয় মাসের কম বয়সের বাচ্চাকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করানো প্রয়োজন যাতে করে বাচ্চা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে । কিন্তু মা কোন কারনে কোভিড ১৯ দ্বারা আক্রান্ত হলে বুকের দুধ পান করানোর ব্যাপারটা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে কারন মা সম্পূর্ন সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের কাছ থেকে দূরে রাখাই উত্তম।
মা কোন কারনে কোভিড ১৯ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়লে মাকে প্রথমত এটা বুঝাতে হবে যে বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চার শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করার সম্ভাবনা খুবই কম । অর্থাৎ দুধের পান করানোর মাধ্যমে বাচ্চা আক্রান্ত হবে না কিন্তু বাচ্চাকে মায়ের কোলে রেখে দুধ পান করানোর সময় মায়ের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে যে ড্রপলেট তৈরী হবে সেই ড্রপলেট থেকে বাচ্চা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
মা তার নিজের বুকের দুধ ব্রেস্ট পাম্প মেশিনের সাহায্যে এক্সপ্রেস করে নিবেন । এই মেশিন পাম্প নেগেটিভ প্রেশার এর মাধ্যমে দুধ বাইরে টেনে নিয়ে জমা করে । এটি প্রায় সব ফার্মেসীতেই কিনতে পাওয়া যায় ।
তবে পাম্প করার পূর্বে মা নিজে হাত ভাল ভাবে ধোয়ে নিবেন এবং মুখে মাস্ক পড়ে নিবেন যাতে শ্বাসের মাধ্যমে কোন ড্রপলেট ছড়াতে না পারে
ব্রেস্ট পাম্প করার পর মা তার এক্সপ্রেস করা দুধ পরিবারের অন্য কোন সুস্থ ব্যক্তিকে দিয়ে বাচ্চাকে পান করাতে বলবেন । পাম্প করার পর দুধ যত দ্রুত বাচ্চাকে পান করানো হবে ততই তার গুনগত মান ঠিক থাকবে । অধিক সময় যাতে বাইরে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
ব্রেস্ট পাম্প প্রতিবার দুধ পান করানোর আগে ও পরে ভালভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে । মায়ের কাছ থেকে পাম্প ভর্তি দুধ নেবার পর তার উপরিভাগ পরিস্কার করে নিতে হবে ।
পর্যাপ্ত ভাবে বোঝানোর পরেও যদি মা নিজেই বাচ্চাকে তার কোলে নিয়ে দুধপান করাতে চান তাহলে মা যেন নিজের হাত ভালভাবে ধোয়ে নেন , মাস্ক দিয়ে মুখ ও নাক ভালভাবে ঢেকে রাখেন এবং দুধ পান করানোর সময় হাঁচি ও কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
পর্যাপ্ত ভাবে বোঝানোর পরেও যদি মা নিজেই বাচ্চাকে তার কোলে নিয়ে দুধপান করাতে চান তাহলে মা যেন নিজের হাত ভালভাবে ধোয়ে নেন , মাস্ক দিয়ে মুখ ও নাক ভালভাবে ঢেকে রাখেন এবং দুধ পান করানোর সময় হাঁচি ও কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকেন।