হার্ট অ্যাটাক রোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হ’ল জীবন যাপন পদ্ধতি ( Lifestyle) পরিবর্তন করা।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য তিনটি প্রধান শর্ত :
১) স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য গ্রহণ করা ।
২) ধূমপান না করা এবং
৩) রক্তচাপকে স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা
১) স্বাস্থ্যকর , সুষম খাদ্য –
বেশি পরিমাণে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে ধমনীতে চর্বি জমে আরও শক্ত হয়ে যায় (atherosclerosis)এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ চর্বিযুক্ত খাবারে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল থাকে।
কোলেস্টেরলের ২ টি প্রধান প্রকার রয়েছে:
কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (low-density lipoprotein বা LDL ) – এটি বেশি অংশ ফ্যাট এবং অল্প পরিমাণে প্রোটিন দ্বারা গঠিত; এই ধরণের কোলেস্টেরল আপনার ধমনীর রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দিতে পারে , তাই এটিকে “খারাপ কোলেস্টেরল” বলা হয়ে থাকে ।
উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (high-density lipoprotein ব HDL) – এটির বেশিরভাগই প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে চর্বি দ্বারা গঠিত; এই ধরণের কোলেস্টেরল আপনার ধমনীতে চর্বি জমা হওয়া হ্রাস করতে পারে, তাই এটিকে “ভাল কোলেস্টেরল” বলা হয়ে থাকে ।
ফ্যাটকে আরোও ২ ভাগে ভাগ করা যায় । স্যাচুরেটেড ও আনসেচুরেটেড ফ্যাট । স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিৎ । খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:
ভাজা খাবার
মাংসের সসেজ এবং ফ্যাটি কাট
মাখন ( butter)
ঘি (এক প্রকার মাখন)
চর্বি ( lard)
ক্রীম
পনির ( cheese)
কেক এবং বিস্কুট
নারকেল বা পাম তেল দিয়ে তৈরী খাবার ।
ভূমধ্যসাগরীয়-স্টাইলের খাবার ( Mediterranean-style diet ) অনুসরণ করা উচিত। এর অর্থ হল বেশী রুটি, ফলমূল, শাকসবজি এবং মাছ এবং কম মাংস খাওয়া।
মাখন এবং পনিরের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ এবং উদ্ভিদ তেলের তরী খাবার খাওয়া যেতে পারে , যেমন জলপাইয়ের তেল (olive oil )
তৈলাক্ত মাছ খাওয়া , ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিপূরক (omega-3 fatty acid supplements) গ্রহণ করা, বা ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মিশ্রিত খাবার ( foods fortified with omega-3 fatty acids ) খাওয়া পুনঃ হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে সহায়তা করে না । তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কোনও খাবারের পরিপূরক (supplements) গ্রহণ করবেন না , যেমন বিটা ক্যারোটিনের মতো কিছু পরিপূরক দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ।
২ ) ধূমপান –
হার্ট অ্যাটাকের জন্য ধূমপান একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি এথেরোসক্লেরোসিস (atherosclerosis ) সৃষ্টি করে এবং রক্তচাপ বাড়ায়।
৩ ) উচ্চ রক্তচাপ –
উচ্চ রক্তচাপ ধমনী এবং হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ প্রায়শই নিয়ন্ত্রনে করা যায়।
.